Search box..

রিয়েলমি ৯ প্রো প্লাস ৫জি: মিডরেঞ্জের প্রথম সনি আইএমএক্স ৭৬৬ ওআইএস সেন্সরের শক্তিশালী স্মার্টফোন

নিত্য নতুন প্রযুক্তির স্মার্টফোন বাজারে নিয়ে এসে প্রযুক্তিপ্রেমীদের চমকে দিচ্ছে বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল স্মার্ট ডিভাইস ব্র্যান্ড রিয়েলমি। লো-লাইটে ব্যবহারকারীদের ছবি তোলার অনন্য অভিজ্ঞতা দিতে রিয়েলমি দেশের বাজারে উন্মোচন করেছে রিয়েলমি ৯ প্রো প্লাস ৫জি ডিভাইসটি। এতে রয়েছে মিডরেঞ্জে দেশের ১ম সনি আইএমএক্স ৭৬৬ ওআইএস সেন্সরের ক্যামেরা। এর পাশাপাশি, ডিভাইসটিতে রয়েছে চমৎকার লাইট শিফট ডিজাইন, ৯০ হার্টজ সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে, ৬০ ওয়াট সুপার ডার্ট চার্জ, ভ্যাপার চেম্বার কুলিং সিস্টেম ও ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার। এ ডিভাইসটির ডিজাইন এবং ক্যামেরা এ সেগমেন্টের ফোনগুলোর মধ্যে সেরা। বিস্তারিত জানতে ভিজিটঃ  https://cutt.ly/zLZSuTs

চমৎকার ছবি তোলার জন্য সনি আইএমএক্স ৭৬৬ ফ্ল্যাগশিপ সেন্সর 

ছবি তোলার ক্ষেত্রে সবসময় কিন্তু সুন্দর আলো পাওয়া যায় না। তবে, এ বিষয়টিকে মাথায় রেখে তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি এর ৯ প্রো প্লাস ৫জি ডিভাইসে ফ্ল্যাগশিপ লেভেলের ক্যামেরা সেট-আপ যুক্ত করেছে। ডিভাইসটির মেইন ক্যামেরায় নিউ ইমেজিং প্রো লাইট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। লো-লাইটে চমৎকার ছবি তোলার সক্ষমতা এ সেগমেন্টের অন্যান্য ফোন থেকে রিয়েলমি ৯ প্রো প্লাস ৫জি ডিভাইসটিকে আলাদা করেছে। বড় আকারের ইমেজিং সেন্সর, অত্যাধুনিক ডিজিটাল নয়েজ রিডাকশন অ্যালগরিদম ও ডুয়াল স্ট্যাবিলাইজেশন সিস্টেম ব্যবহার করে প্রোলাইট ইমেজিং প্রযুক্তি দিয়ে ব্যবহারকারীরা অনায়েসেই দুর্দান্ত সব ছবি তুলতে পারবেন। এ ডিভাইসটিতে সনি আইএমএক্স ৭৬৬ ফ্ল্যাগশিপ সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে। জনপ্রিয় এ ক্যামেরা সেন্সরটি অনেক ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসেও ব্যবহার করা হয়েছে, যা ব্যয়বহুল। বড় আকারের ১/১.৫৬ ইঞ্চি সেন্সর এ ডিভাইসটিকে এর সেগমেন্টের সবচেয়ে বড় সেন্সরে পরিণত করেছে, যা এর আগের প্রজন্মের তুলনায় ৬৩.৮ শতাংশ বেশি আলো ক্যাপচার করে। আইফোন ১৩ এর সাথে তুলনা করলে এটি ৪৫ শতাংশ বেশি আলো ক্যাপচার করে। 

প্রোলাইট ইমেজিং প্রযুক্তির অংশ হিসেবে ছবি তোলার জন্য ডিভাইসটির মেইন ক্যামেরায় অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন (ওআইএস) ও ভিডিও করার জন্য ইলেকট্রনিক ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন (ইআইএস) ব্যবহার করা হয়েছে। ডিভাইসটিতে অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন থাকায় যে কোন ধরনের ঝাঁকুনিতেও পরিষ্কার ও ঝকঝকে ছবি তোলা সম্ভব। প্রোলাইট ইমেজিং প্রযুক্তিতে এআই নয়েজ রিডাকশন ইঞ্জিন ৩.০ কে সমন্বয় করা হয়েছে, যা আরো সূক্ষ ও নিখুঁতভাবে নয়েজ দূর করতে পারবে। ডিজিটাল নয়েজ বিভিন্ন শেপ এবং সাইজের হয়, তাই নয়েজ রিডাকশন ইঞ্জিন এই নয়েজের শেপগুলো শনাক্ত এবং দূর করতে ডিপ লার্নিং ব্যবহার করে, যা কম ডিজিটাল নয়েজের মাধ্যমে লো লাইটে পরিষ্কার ও চমৎকার ছবি তুলতে সাহায্য করে। নিঃসন্দেহে এ ডিভাইসটির ক্যামেরা এই প্রাইস সেগমেন্টে সেরা।

ডাইমেনসিটি ৯২০ ফাইভজি প্রসেসর সহ সবচেয়ে শক্তিশালী ৫জি পারফরম্যান্সের ফোন 

রিয়েলমি ৯ প্রো প্লাস ৫জি ডিভাইটি এ সেগমেন্টের ফোনগুলোর মধ্যে সেরা পারফরমেন্স নিশ্চিত করবে। এ ডিভাইসটিতে প্রথমবারের মতো মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৯২০ ফাইভজি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে; এর শক্তিশালী প্রসেসর ৫,০০,০০০ এরও বেশি আনটুটু স্কোর অর্জন করে রেকর্ড তৈরি করেছে। এতে অত্যাধুনিক ৬ ন্যানোমিটার চিপসেট রয়েছে, ফলে এ ডিভাইসটি দিয়ে ব্যবহারকারীরা ফোন ব্যবহারের উন্নত অভিজ্ঞতা পাবেন। ডিভাইসটির সিপিউ’র কোর পারফরমেন্স ২.৪ গিগাহার্টজ থেকে ২.৫ গিগাহার্টজ এ উন্নীত করা হয়েছে। এছাড়াও, গেমারদের জন্য ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা শক্তিশালী এ প্রসেসরটি গেমিং পারফরমেন্স ৯ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে সাহায্য করবে। ব্যবহারকারীরা আগের প্রজন্মের ডাইমেনসিটি চিপের চেয়ে এ ডিভাইসটির ডাইমেনসিটি চিপের মাধ্যমে ৩৫ শতাংশেরও বেশি ডিটেইল সহকারে ছবি তুলতে পারবেন। ফোনটিতে ভ্যাপার চেম্বার কুলিং সিস্টেম রয়েছে, যা দীর্ঘক্ষণ ফোন ব্যবহারের সময় তাপমাত্রা উল্লেযোগ্যভাবে হ্রাস করে এবং হাই-পারফরমেন্সের বিষয়টিকে নিশ্চিত করে।    

সূর্যোদয় থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লাইট শিফট ডিজাইন 

সূর্যোদয় থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে রিয়েলমি তাদের রিয়েলমি ৯ প্রো প্লাস ৫জি ডিভাইসে ব্র্যান্ডটির স্বতন্ত্র‌্য ডিজাইন ‘লাইট শিফট ডিজাইন’ ব্যবহার করেছে। ডিভাইসটির গ্রেস কালার সানরাইজ ব্লু’র সাথে লাইট শিফট ডিজাইন সুন্দর এক আবহ তৈরি করে, যা সূর্যের চমৎকার ইফেক্ট দ্বারা অনুপ্রাণিত। সাধারণত, স্বাভাবিক সূর্যের আলো কিংবা অতিবেগুনি রশ্মিতে ফোনটির পেছনের দিক প্রায় ৩ সেকেন্ডের জন্য নীল থেকে লাল রঙ ধারণ করবে। তবে সূর্যের আলো না থাকলে এটি ২ থেকে ৫ মিনিটের মধ্যে আগের রঙে ফিরে আসে। এ ডিভাইসটিতেই প্রথমবারের মতো ফটোক্রোমিজম ডুয়াল লেয়ার ক্রমিক বন্ডিং প্রসেস ব্যবহার করা হয়েছে। এটি শুধুমাত্র যে কোন ধরনের তরল পদার্থ থেকে ফোনের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করবে না; একইসঙ্গে এটি রঙের রেন্ডারিং হার ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি করবে। ফলে ফোনের ড্যাজলিং ইফেক্ট ডিভাইসটিকে অন্যান্য ডিভাইস থেকে আলাদা করেছে। এ ডিভাইসটি রিয়েলমি নাম্বার প্রো সিরিজের ডিভাইসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পাতলা। ডিভাইসটি ৭.৯৯ মিমি পাতলা এবং এর ওজন মাত্র ১৮২ গ্রাম। অ্যাডভান্সড স্ট্র্যাকচারাল স্ট্যাকিং প্রযুক্তি ও রিফাইন্ড কম্পোনেন্টগুলো রিয়েলমি ৯ প্রো প্লাস ৫জি ডিভাইসটিকে স্লিম ও হালকা করেছে, যা অনায়াসেই হাতের তালুতে রাখা যাবে। 

ফোনটির ডিসপ্লে কোয়ালিটি দুর্দান্ত। এতে ৯০ হার্টজ হাই-রিফ্রেশ রেট সহ সুপার অ্যামোলেড স্ক্রিন ব্যবহার করা হয়েছে; ফলে ব্যবহারকারীরা খুব আরামদায়কভাবে এই ফোনের ডিসপ্লে ব্যবহার করতে পারবেন এবং এক ধরণের স্মুথ অনুভূতি পাবেন। এ ফোনটিতে ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরও ব্যবহার করা হয়েছে, যা হৃৎস্পন্দন পরিমাপ করতেও সক্ষম। স্মার্টডিভাইস দিয়ে যারা কনটেন্ট উপভোগ করতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এ ফোনটি বেশ সহায়ক হবে। এছাড়াও, এ ডিভাইসটিতে আছে ৮জিবি র‌্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজ সুবিধা। ডিভাইসটির ডলবি ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার এবং ৬০ ওয়াট সুপার ডার্ট চার্জিং প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের ফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করবে। ফলে ফোনটি ০-৫০% চার্জ করা যাবে মাত্র ১৫ মিনিটে। এ ডিভাইসটির গুণগতমান সত্যিই চমৎকার। 

আজকের তরুণদের মাঝে স্টাইলিশ ও নিত্য নতুন ডিজাইনের স্মার্টফোন কেনার প্রতি প্রবল আগ্রহ দেখা যায়। তারা মনে করেন ক্যামেরা, ডিজাইন ও অসাধারণ ডিসপ্লে সামগ্রিকভাবে স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা বদলে দিতে পারে। তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি সবসময়ই সুন্দর ডিজাইনের এবং দারুণ স্পেসিফিকেশনের ফোন নিয়ে আসতে সচেষ্ট। এরই ধারাবাহিকতায়, তরুণদের ফোন ব্যবহারের দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা দিতে রিয়েলমি সানরাইজ ব্লু এবং অরোরা গ্রিন এই দু’টি দুর্দান্ত রঙে মাত্র ৩৯,৯৯০ টাকায় (ভ্যাট প্রযোজ্য)  দেশের বাজারে নিয়ে এসেছে রিয়েলমি ৯ প্রো প্লাস।      

 

Post a Comment

0 Comments